স্বদেশ ডেস্ক:
চলচ্চিত্র পরিচালক অনন্য মামুনের সদস্যপদ স্থায়ীভাবে বাতিল করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। আজ শনিবার কার্যনির্বাহী বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে একাধিক পরিচালক নিশ্চিত করেছেন। যার ফলে এই নির্মাতা আজীবনের জন্য পরিচালক সমিতিতে নিষিদ্ধ হলেন।
পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন বলেন, ‘আজ আমাদের দ্বিবার্ষিক বৈঠক ছিল। সেখানে অনন্য মামুনের বিষয়টি কার্যকর হয়।’
সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমায় অশ্লীলতা এবং পুলিশকে হেয় করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এই অভিযুক্ত পরিচালক।
পরিচালক সমিতির মহাসচিব বলেন, অনন্য মামুন সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছেন বলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগেও তার নামে অভিযোগ ছিল। তখন তার পদ সাময়িক স্থগিত করা হয়।
সমিতির একাধিক নেতা দাবি করেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মামলার রায়ের জন্য তারা অপেক্ষা করতে চান না। কারণ নিজেদের তদন্ত কমিটি ‘নবাব এলএলবি’ ছবিটি দেখেছে। তারপর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমায় অশ্লীলতা এবং পুলিশকে হেয় করার অভিযোগে পর্নগ্রাফি আইনে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করাও হয়েছিল। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন।
বিষয়টি নিয়ে মামুনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
আজ বিকেলে ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘পরিচালক সমিতির সদস্যপদ না থাকলে সিনেমা বানাতে পারবে না কথাটি সত্য নয়। পরিচালক সমিতির সদস্য পদ না থাকলে আমি পরিচালক সমিতির সুযোগ সুবিধা পাব না। ২০১৬ সালে ‘‘অস্তিত্ব’’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান নুসরাত ইমরোজ তিশা এবং ২০১৯ সালে তারিক আনাম খান একই পুরস্কার পান ‘‘আবার বসন্ত’’ সিনেমার জন্য। ছবিগুলো আমার পরিচালনায় নির্মিত। ইনশাআল্লাহ এবার ‘‘নবাব এলএলবি’’ সিনেমাতেও অনেক পুরস্কার আসবে। আর মোহাম্মদ জে…. নামের একজন পরিচালক আছেন যিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে সহ্য করতে পারেন না। কারণ তার সিনেমাগুলো আমার কাছে অখাদ্য মনে হয়। বলে রাখি, এ বছর অনন্য মামুন পাঁচটি সিনেমা বানাবে।’
মামুনের বিরুদ্ধ এর আগেও বহুবার অভিযোগ এসেছে। যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণে প্রতারণা, ভুয়া শিক্ষা সনদ দিয়ে পরিচালক সমিতিতে সদস্যপদ নেওয়া ও অপেশাদারিত্বের আচরণের অভিযোগ শোনা যায় তাকে নিয়ে। সম্প্রতি ‘নবাব এলএলবি’ ছবি নিয়েও ক্ষুব্ধ ছিলেন এর শিল্পীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মানবপাচারের অভিযোগে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অনন্য মামুন। ওই সময় তার সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করেছিল পরিচালক সমিতি। পরে মুচলেকা দিয়ে বিষয়টির সমাধান করেছিলেন মামুন।